নাটোরের বড়াইগ্রামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা এবং একটি ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিহাব উদ্দিন নামের এক ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম মোল্লা (৩৬) বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব উদ্দিন ও তার সহযোগী রসুল ইসলামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিহাব উদ্দিন তিরাইল গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম মোল্লা গোয়ালফা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৌখাড়া হাটের ইজারাদার ও পুরাতন মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করেন।
অভিযোগে খায়রুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার রাতে তিনি একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। গোয়ালফা গ্রামে আজিজল ইসলামের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় শিহাব উদ্দিন ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার পথরোধ করে। তারা তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এবং তার কাছে থাকা ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
খায়রুল ইসলাম জানান, তার মাথায় সেলাই, ডান হাত ভেঙে গেছে এবং বাম হাতেও আঘাত লেগেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভর্তি হওয়া খায়রুল ইসলাম মোল্লার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার বিষয়টি জানা নাই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন