অবৈধ অভিবাসনবিরোধী কঠোর অবস্থানে মালয়েশিয়া। এই কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেশটির একটি প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ অবৈধ বিদেশিকে আটক করেছে জোহর রাজ্য ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। গতকাল রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জোহর অভিবাসন বিভাগ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হওয়া সাঁড়াশি অভিযানে জোহর অভিবাসন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। কারখানায় বিপুলসংখ্যক বিদেশি কর্মীকে বৈধ পাস ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের ৪৫ জন, মিয়ানমারের ৭১, ভারতের ৪, নেপালের ২ এবং পাকিস্তানের এক নাগরিক রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক বিদেশিদের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াই কাজ করা, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়া এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ও অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩-এর বিধান লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপককেও আটক করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে কারখানার ভেতরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বেশকিছু কর্মী পালাতে এবং কারখানার ভেতরে লুকানো স্থানে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। তবে এনফোর্সমেন্ট সদস্যরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পালানোর সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জোহর রাজ্য ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কঠোরভাবে সতর্ক করে জানিয়েছে, অবৈধ বিদেশি কর্মীদের আড়াল করার যেকোনো কৌশল এনফোর্সমেন্টের রাডার থেকে রেহাই পাবে না। আটককৃত সব সন্দেহভাজনকে আরও তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। জোহর অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, কর্মীদের অপব্যবহার রোধ এবং আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে।

