কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার সিএনজি চালক পাভেল চাকমাকে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় করা মামলার পর টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ অপহরণকারীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের লামারবাজার সৈকত কাউন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তাররা হলো- আব্বাস উদ্দিন (৪২), বাবা নুরুল, ঠিকানা, আব্দুল হাকিমপাড়া, কোনাখালী, চকরিয়া, সাকিবুল ইসলাম (২২), বাবা হাকিম ভট্টো, একই এলাকা, ফরহাদ মিয়া (১৯), বাবা সফি আলম, মো. রবিউল হোসেন (২৭), বাবা মৃত ইউনুছ আহমদ, ডেমুশিয়া, মো. তাওসিফ (১৯), বাবা সাহাব উদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে শামলাপুর যাওয়ার পথে ঢালা এলাকায় অপহরণকারীরা পাভেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মুক্তিপণ হিসেবে তার পরিবারের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা আদায় করা হয়।
অপহরণ মামলার সূত্র ধরে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যে শীলখালী এলাকার একটি বসতবাড়ির ছনের গাদার ভেতর থেকে একটি দেশীয় তৈরি ১২.৪ ইঞ্চি লম্বা এলজি ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয় বিশ্বাস জানান, অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তাররা সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে এবং ভিকটিম পাভেল চাকমাও তাদের শনাক্ত করেছেন। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সফল সমাধানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং বাহারছড়ায় পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
