বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৪:৫৯ এএম

সুজনের জরিপ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির পরিবর্তন চায় ৯০% মানুষ পিআর চান ৭০ শতাংশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৪:৫৯ এএম

সুজনের জরিপ  রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির পরিবর্তন চায় ৯০% মানুষ পিআর চান ৭০ শতাংশ

  • এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি নির্বাচিত হওয়ার বিপক্ষে ৮৯ শতাংশ মানুষ
  • নি¤œকক্ষে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে ৮৬ শতাংশ মানুষ
  • নির্বাচনি ব্যয় নিয়ে অসত্য তথ্য প্রদানকারীর প্রার্থিতা বা ফল বাতিল চান ৮৮ শতাংশ 
  • সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্তদের রাজনৈতিক দলে অযোগ্য হিসেবে দেখতে চান ৯২ শতাংশ
  • দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত ৬৯ শতাংশ মানুষের
  • ইন্টারনেট সেবাকেও মৌলিক অধিকার হিসেবে চান ৮৮ শতাংশ মানুষ
  • জরিপে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৩ জন


রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়াও সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছেন ৭০ শতাংশ মানুষ। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি নির্বাচিত হওয়ার বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন ৮৯ শতাংশ মানুষ। প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণে জনমত যাচাইয়ের তথ্য উপস্থাপন করে এসব তথ্য জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন)। 

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। জরিপে আইনসভা সংস্কারের প্রস্তাবের বিষয়ে বলা হয়, নি¤œকক্ষে নারীদের জন্য ১০০টি সংরক্ষিত আসনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৬৩ শতাংশ মানুষ। নি¤œকক্ষে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে ৮৬ শতাংশ মানুষ। 

এ ছাড়া সুজন প্রস্তাবিত সিনেটে নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসনের পক্ষে ৬৯ শতাংশ, বিরোধী দল থেকে উচ্চকক্ষে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে ৮২ শতাংশ এবং একই ব্যক্তির একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয়প্রধান না হতে পারার বিধানের পক্ষে ৮৭ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন।

সুজনের কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। জনমতের ফল উপস্থাপন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন। তিনি বলেন, গত মে থেকে জুলাই মাসে পরিচালিত হয়েছে জনমত জরিপ। এতে দেশের সব জেলার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৩ জন। এর মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ ১ হাজার ৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৫ জন। নাগরিক সংলাপ হয়েছে ১৫টি। জরিপে অংশ নেওয়া সবাইকে ৪০টি প্রশ্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন একরাম হোসেন।

জরিপে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ (নি¤œকক্ষ) ও সিনেট (উচ্চকক্ষ) নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ। আনুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে ৭১ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধানের পক্ষে ৮৯ শতাংশ।

শাসন পদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়ে জরিপে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৭ শতাংশ মানুষ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচকম-লীর (ইলেক্টরাল কলেজ) পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৬ শতাংশ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে ৮৮ শতাংশ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধনের পক্ষে ৮৭ শতাংশ এবং রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’, ‘সামাজিক সুবিচার’, ‘গণতন্ত্র’ এবং ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতি’র পক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ।

নির্বাচনি ব্যয় নিয়ে অসত্য তথ্য প্রদানকারীর প্রার্থিতা বা ফল বাতিল চান ৮৮ শতাংশ মানুষ। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক দলে অযোগ্য হিসেবে দেখতে চান ৯২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া পাসপোর্টের তথ্য ব্যবহার করে প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট বা অনলাইনে ভোট চান ৮৭ শতাংশ মানুষ। 

এ ছাড়াও জাতীয় ভোট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৮ শতাংশ। না ভোটের বিধান চান ৮৩ শতাংশ। স্থায়ী স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন চান ৯০ শতাংশ মানুষ।

জরিপে আরও বলা হয়, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের সঙ্গে ইন্টারনেট সেবাকেও মৌলিক অধিকার হিসেবে চান ৮৮ শতাংশ মানুষ। মৌলিক অধিকার শর্তহীন করার পক্ষে ৮৪ শতাংশ এবং সব সাংবিধানিক পদ ও তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগের জন্য একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের পক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন ও প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে ৯০ শতাংশ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে ৮৩ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার কীভাবে সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করবে তার একটি চিত্র ২০১৩ সালে তুলে ধরেছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেও আমরা সারা দেশের একটা জনমত জরিপ করেছিলাম। এবারও জনগণ মতামত দিয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও মতামত দিয়েছি। যেই সরকারে যাবে তারা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। সেই হিসাবে জাতীয় সনদের একটা খসড়া আমরা ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছি।’ জনমত সৃষ্টি করাই এ কাজের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন  সুজন সম্পাদক। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!