‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় হয়নি। যারা পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে তাদের কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা আদায় করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোনো শাসক গোষ্ঠী ভারত তথা অন্যান্য পরাশক্তির কাছে মাথানত করতে যাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ক্ষমতায় আগামীতে যারাই আসুক না কেন জুলাই অভ্যুত্থানের শিক্ষাকে স্মরণ রেখে দেশ শাসনের প্রতি নজর রাখতে হবে। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’
গতকাল বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ভাসানী সেতু পয়েন্টে আয়োজিত ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ সৌদি অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের তিস্তা ভাসানী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানী সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি হবে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষের আশা পূরণের প্রতীক। এ সেতু চালুর ফলে হরিপুর ও চিলমারীসহ সমগ্র তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন-মান উন্নত হবে। কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষকে যুক্ত করার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সৌদি প্রতিনিধি ডিরেক্টর জেনারেল অব এশিয়া অপারেশনস ডা. সৌদ আইব আল শামারী, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত মো. আশিক, বিএনপি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, গাইবান্ধা জেলার জামায়াতের সাবেক আমির ডা. আব্দুর রহিম, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন প্রমুখ। এর আগে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ভাসানী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ হাজারো সাধারণ মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেতু চালু হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।