ঘরের দেয়াল কিছু না কিছু দিয়ে সাজানো একটা আর্ট। সৃজনশীল ছাড়া মানুষ আছে কিনা সন্দেহ, সৃজনশীল মানুষের ঘরের কোনো দেয়াল খুব কমই খালি থাকে।
কোননা কোনো শিল্পকর্ম, ছবি বা ঘড়ি দেখা যায়। সৃজনশীল মানুষও ভিন্নরকম কোনো ঘড়ি চায় তার ঘরের দেয়ালে। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, চক বাজারে ঘড়ির অনেক কালেকশন পাওয়া যায়। এ ছাড়া স্টেডিয়াম এ অনেক দোকানে ঘড়ি পাওয়া যায়; যদিও স্টেডিয়ামে ঘড়ির মার্কেট অনেক পুরোনো, অনেক দোকান ঘড়ি থেকে ইলেক্ট্রনিক্সে রূপান্তরিত হলেও কিছু দোকান ঘড়ি ধরে রেখেছে। ঘরের দেয়াল সাজাতে ঘড়ি অসাধারণ লাগে, যদি সঠিক ডিজাইন ও জায়গায় সেট করা হয়। এটা শুধু সময় দেখার জন্য না, বরং ঘরের ডেকোরেশন আইটেম হিসেবেও দারুণ কাজ করে। নিচে কিছু দিক থেকে ব্যাখ্যা করছি কেন ঘড়ি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়:
কেন ঘড়ি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়
দেয়ালে একটা সুন্দর ঘড়ি থাকলে চোখ সহজে সেদিকে যায়। বিশেষ করে বড় ওয়াল ক্লক হলে পুরো দেয়ালের সৌন্দর্য পাল্টে দেয়।
ঘড়ির ডিজাইন, রং, এবং ফিনিশ ঘরের আসবাব বা ওয়ালপেইন্টের সঙ্গে মিলিয়ে নিলে পুরো ঘরেই একটা সামঞ্জস্য আসে।
অল্প খরচে ঘরে পরিবর্তন আনতে ঘড়ি খুব ভালো একটা উপায়।
রান্নাঘরে ফান ঘড়ি, বেডরুমে হালকা ডিজাইন, ড্রইংরুমে এলিগ্যান্ট বা আর্টিস্টিক ঘড়ি-সব জায়গায় আলাদা স্বাদ।ঘর সাজানোর জন্য ঘড়ি একটি দারুণ উপাদান হতে পারে। এটি শুধু সময় জানানোর কাজই করে না, বরং ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায় এবং একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করে।
নিচে কিছু ঘরের জন্য ঘড়ি বাছাই ও সাজানোর আইডিয়া দেওয়া হলো-
ঘরের ধরন অনুযায়ী ঘড়ির ধরন
ড্রইংরুমের জন্য
একটি বাড়ি প্রবেশ করতে প্রথমে আসে ড্রইংরুম। সেখানে মেহমানদের আপ্যায়ন করা হয়। মেহমানরাও বারবার ঘড়ির দিকে তাকায়। এই ঘড়ি আপনাকে আপনার রুচির পরিচয় দেবে। অনেকের ড্রইংরুমে একটু বড় সৃজনশীল ঘড়ির দেখা মেলে। ড্রইংরুমের আকর্ষণ বড় ওয়াল ক্লক বা আর্টিস্টিক ডিজাইনের ঘড়ি। এ ছাড়াও মেটালিক ফ্রেম বা কাঠের ডিজাইনের ঘড়িও দারুণ মানায়। রোমান নাম্বার থাকলে ক্লাসিক লুক আসে।
বেডরুমের জন্য
বেড রুম বা শোবার ঘরে সাধারণত ছোট ও সিম্পল ডিজাইনের ঘড়ি। ডিজিটাল ঘড়িও ব্যবহার করা যায় যাতে অ্যালার্ম দেওয়া যায়। নীরব ঘড়ি ভালো,যাতে শব্দ না করে।
ডাইনিং রুম বা কিচেনের জন্য ফান বা থিমেটিক ঘড়ি (যেমন- কফি কাপ, চামচ-কাঁটা চামচ ডিজাইন)। ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ঘড়ি ভালো মানায়।
অফিস রুম বা স্টাডি রুমের জন্য
মিনিমাল ডিজাইনের ঘড়ি।
কালো-সাদা বা গ্রে রঙের ঘড়ি প্রফেশনাল লুক দেয়।
ঘড়ি ঝোলানোর টিপস
ঘড়ি চোখের সমান উচ্চতায় ঝুলান। দেয়ালের রঙের সঙ্গে ঘড়ির কনট্রাস্ট যেন থাকে। দেয়ালে যদি বেশি ছবি থাকে, তাহলে সাদামাটা ঘড়ি ব্যবহার করুন। বড় ঘড়ি হলে দেয়ালের মাঝ বরাবর ঝোলানো ভালো দেখায়।
ঘড়ির রং বাছাই
সাদা বা হালকা রং ঘরের জন্য কালো, নীল বা গাঢ় রঙের ঘড়ি। গাঢ় রঙের দেয়াল ঘরের জন্য হালকা বা মেটালিক ঘড়ি। কাঠের ফিনিশ ঘরের জন্য কাঠের ফ্রেম বা সোনালি রঙের ঘড়ি।