শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩২ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে একযোগে ১৫ জন নেতার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। পদত্যাগকারী পাঁচজন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ১০ জন সদস্য লিখিতভাবে সম্প্রতি ঘোষিত ওই সমন্বয় কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
পদত্যাগকারী যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন, মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন। এ ছাড়া সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম শান্ত।
তারা পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। পদত্যাগপত্রে শুধু সমন্বয় কমিটি প্রত্যাখ্যানের বিষয়টিই নয় বরং দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য লোক। এ প্রেক্ষাপটে আত্মবিশ্লেষণমূলক চিন্তাভাবনার পর আমরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা সমন্বয় কমিটির নিজ নিজ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার আমরা একযোগে পদত্যাগের পাশাপাশি নকলা উপজেলা সমন্বয় কমিটি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরে কেন্দ্রীয় প্যাডে অনুমোদিত হয় নকলা উপজেলা এনসিপির ৩২ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি। এতে হুমায়ুন কবির আকাশকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং ১০ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ২১ জন সদস্য রাখা হয়।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই নকলার কমিটি প্রকাশের প্রথম দিন থেকেই পদত্যাগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলেন।