ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির  সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০২:২৩ এএম

আগামী ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বাধীনতা-পরবর্তীতে নানা সময় দলটি দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক সংকটকালে দলের নেতাকর্মীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশকে আবারও ষড়যন্ত্রের অন্ধগলিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো অনিশ্চিত। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ব্যাপারে জানানো হয়, আগামী ৩১ আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১ সেপ্টেম্বর সকালে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সব মহানগর জেলায় আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা; ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা; ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও পৌর এলাকায় শোভাযাত্রা; ৪ সেপ্টেম্বর মহানগর, জেলা উপজেলায় মৎস্য অবমুক্তকরণ, একই দিন সারা দেশে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং ৫ সেপ্টেম্বর গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও আধিপত্যবাদী শকুনিরা এ দেশের মানচিত্রকে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। নানা ধরনের চক্রান্তের কথা শুনি। নানা ধরনের মাস্টার প্ল্যানের কথা শুনি। গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়। ১৬ বছর ধরে পঁচাত্তরের পতিত ফ্যাসিবাদ নতুন রূপে ক্ষমতাসীন হয়েছে। দেশ শাসন করছে দুঃশাসন, গুপ্তহত্যা, বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা, সংবাদপত্রকে পদদলিত করা আর ভিন্নমতের রাজনীতিকে দমনের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, বাকশালের অন্ধকার অঞ্চল থেকে আলোকিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এত অল্প সময়ে তিনি মানুষকে দিয়েছিলেন নিরাপত্তা, স্বস্তি ও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। কিন্তু তা চক্রান্তকারীরা সহ্য করতে পারেনি। তাই তাকে হত্যা করা হয়।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেছেন। তবে গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। এ জন্য আরও কঠিন পথ অতিক্রম করতে হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখনো কাজ শেষ হয়ে যায়নি, গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। আমাদের সেই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের হয়তো আরও বিপদসংকুল পথ অতিক্রম করতে হবে। এ কারণে আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং জাতীয়তাবাদী শক্তি প্রস্তুত। আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা নানা ধরনের চক্রান্তের কথা শুনি। নানা ধরনের মাস্টার প্ল্যানের কথা শুনি। গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস প্রমুখ।