একাত্তর ঠিক রেখেই সবকিছু সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। বলেন, ‘একাত্তর আমাদের গৌরবের জায়গা, এটা ঠিক রেখেই সবকিছু সংস্কার করতে হবে। একাত্তরকে বাইপাস করে যদি সংস্কারের নামে পরিবর্তন করতে যাই, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা সফল হতে পারব না। জুলাই আমাদের একটা সুযোগ দিয়েছে, জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য। একাত্তর-জুলাই ’২৪ নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে একাডেমিক কমিটি (আর্টস) আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সংবিধান সংস্কার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের উপযোগী হয়ে উঠতে হবে। তা না হলে ভালো কিছু অর্জন করতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ক্ষেত্রে পাইওনিয়ারের ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেওয়া সংস্কারকাজগুলো এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।’
একাডেমিক কমিটি (আর্টস)-এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ হাদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. একরামুল হক।
মুখ্য আলোচক ড. একরামুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে সুযোগ এসেছে সংবিধানকে গণমুখী ও যুগোপযোগী করার। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের জন্য এই সুযোগ এনে দিয়েছে, যে সুযোগ আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’
