প্রেমের সম্পর্ক করে এক যুগের বেশি সময় আগে রিমা নামের একজনকে বিয়ে করেন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজ ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ সানি। তাদের আট বছর বয়সি ছেলেও আছে। তবে এত দিন পরিবারের বাইরে বিয়ে, সন্তানের বিষয়টি সেভাবে কেউ জানত না। কারণ পরিবারের বাইরে কখনো স্ত্রীকে সামনে আনতেন না এই ছাত্রদল নেতা। এবার সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ও স্বামীর নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে আনলেন ছাত্রদল নেতা সোহেলের স্ত্রী মোছা. রিমা।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রিমা। এসব অভিযোগের পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিমা অভিযোগ করেছেন, গত ৫ আগস্টের পরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার পর সোহেল আহমেদ সানিও বদলে গেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার, পরকীয়া ও স্ত্রী-সন্তানকে ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আট বছরের রিমার সঙ্গে তার ছেলে সন্তানও উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে রিমা অভিযোগ করে বলেন, ‘এক যুগের বেশি সময় ধরে আমরা ভালোভাবেই সংসার করছিলাম। রামপুরার বাসায় আমরা একত্রে বসবাস করে আসছি। আর্থিকভাবে ভালো না থাকলেও মানসিকভাবে শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোহেলের নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। সোহেল সিদ্ধেশ্বরী কলেজের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই মেয়েকে কাজিন পরিচয় দেয় কলেজে। বিষয়টি জানার পরে প্রতিবাদ করলে উলটো অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও সোহেল প্রেম করে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তিনি (সোহেল) রাজনৈতিক পদ ও প্রভাবকে ব্যবহার করে আমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমাকে গুম করে ফেলারও হুমকি দেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তার নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমেদ সানি বলেছেন, যে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেখানে যা বলা হয়েছে এগুলো সব বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কলেজের সাধারণ সম্পাদকও ষড়যন্ত্র করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন