পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন আবার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বিগত সরকারের সময় থেকে চলে আসা কর্মসূচি কিছুদিন থেমে থাকলেও আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশ্বাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৭ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৩১ আগস্ট থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্তÍ ৯ জনসহ মোট ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ছুটি ঘোষণা করে কর্মস্থল ত্যাগ করা শুরু করেন। এতে জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটতে থাকে। ওই সমিতিতে ২ সেপ্টেম্বর ১ জন কর্মকর্তাকে এবং ৪ সেপ্টেম্বর আরও তিনজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেনÑ এজিএম (প্রশাসন) মো. রাশেদুল আলম খন্দকার, সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর মো. ওমর ফারুক, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ওঅ্যান্ডএম) মো. আবু হাসান এবং বিলিং সহকারী জ্যাকুলিন বাশার। তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে গণছুটি ঘোষণা করেন নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। বিক্ষুব্ধ কর্মীগণ অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল, গাড়ির চাবি জমা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক তাদের আওতায়। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ ও শাস্তিমূলক বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। বিগত সরকারের সময় থেকে চলে আসছে আন্দোলন, বিভিন্ন দফায় আশ্বাস দেওয়া হলে সাময়িক বিরতি হয়েছে। কখনো কখনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে, তবে চূড়ান্ত সমাধানের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন