বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে: হাইকোর্ট

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও  বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে: হাইকোর্ট

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে পরীক্ষার আয়োজন করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার এ রায় দেন।

গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক স্মারকে জানায়, শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন চলতি বছর রিট আবেদন করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে স্মারকে উল্লেখ করা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়, শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি সংক্রান্ত ওই স্মারক কেন আইনবহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না এবং ২০০৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ ইজাজ কবির।

২০০৫ সালে বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারত, যা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নতুন নীতিমালার আওতায় পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানকার মেধাবীরা বৃত্তি পেত।

করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ২০২২ সালে আবার বৃত্তি পরীক্ষা চালু হয় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার (সংশোধিত ২০১৬) নীতিমালায়। তবে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তা বন্ধ ছিল।

চলতি বছর সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে এবার বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!