জনসমাগম ও বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে গত ২০ জুলাই হাউস মালিকদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানায় উত্তরা কল্যাণ সমিতি, সেক্টর-৪। আবাসিক এলাকায় শুটিংয়ের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারা।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে তীব্র সমালোচনা হয়। তবে নির্মাতা ও শিল্পীদের প্রতিবাদ ও ডিরেক্টরস গিল্ডের আনুষ্ঠানিক আপত্তির পর অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নতুন কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কল্যাণ সমিতির সঙ্গে এক সম্মিলিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভায় সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন। সভায় উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে শুটিং হাউজ বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয় এবং কিছু নিয়ম কানুন মেনে সকল নির্মাতাকে শুটিং করার অনুরোধ জানানো হয়। এখন আর আবাসিক এলাকায় শুটিংয়ে বাঁধা নেই। ছোট পর্দার সব সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে কল্যাণ সমিতিতে জমা দেবে বলে জানা যায়।
আলোচনার মাধ্যমে সমোঝতা হয়েছে বলে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানিয়েছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হাসানী। তিনি বলেন, এটি উভয়ের জন্য সুন্দর সমাধান হয়েছে। এখন আর শুটিংয়ে বাঁধা রইল না।
জানা গেছে, আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে শুটিংয়ের সময় নির্ধারণ। দীর্ঘদিন ধরেই শুটিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তবে তা অনেকবার সমাধানের কথা উঠলেও সুফল দেখা যায়নি। অবশেষে কল্যাণ সমিতির বাঁধার মুখে বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন নাট্য সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় বর্তমানে তিনটি শুটিং হাউস নিয়মিত কাজ করছে, লাবণী-৪, লাবণী-৫ এবং আপন ঘর-২। এ ছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শুটিং হাউস থাকলেও তা নিয়মিত নয়। দ্রুত শুটিং শুরু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
