ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষকের বাড়ি থেকে ১১ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে প্রশাসন। কচ্ছপটি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিমাই চন্দ্র (৪৫) নামের এক কৃষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কচ্ছপটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। আটক নিমাই চন্দ্র ওই উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় মৃত গণেশ চন্দ্রের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার কুলিক নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপটি ধরেছিলেন এক জেলে। খাওয়ার জন্য তার কাছ থেকে কিনে কচ্ছপটি বাড়িতে নিয়ে আসেন নিমাই চন্দ্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন কচ্ছপটি উদ্ধার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে আটক নিমাই চন্দ্রকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উদ্ধার কচ্ছপটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ওসি মো. আরশেদুল হক।
উপজেলা বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, উদ্ধারকৃত কচ্ছপটি একটি সংরক্ষিত ও বিপন্ন প্রজাতির। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় এ ধরনের অপরাধে নিয়মিতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী কচ্ছপ আটক ও ক্রয়-বিক্রয় দ-নীয় অপরাধ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ। এ কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিমাই চন্দ্রকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত কচ্ছপটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেটি দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।