*** বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সবজিচাষিদের। বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক কৃষকের সবজি খেতেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নিচু জমির সবজি ও ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। বৃষ্টির প্রভাবে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বেগুনের দাম এরই মধ্যে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটোলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বর্ষার শুরু থেকে বাজারে কাঁচামরিচের ঝাঁজ রয়েই গেছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের সব সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফেরিঘাট কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭০ টাকা কেজি মূল্যের বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ১৪০ টাকা মূল্যের কাঁচামরিচ ২০০, ৩০ টাকা মূল্যের পটোল ৬০, ৩৫ টাকা মূল্যের ঢেঁড়স ৭০, ৬০ টাকা মূল্যের প্রতি কেজি করলা ১০০, ২০ টাকা মূল্যের চিচিঙ্গা ৪০, ৩০ টাকা মূল্যের কাঁচকলা ৫০, ৪০ টাকা মূল্যের শসা ৬০, ৩০ টাকা মূল্যের বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০ টাকার লাউ ৫০, ১০ টাকা মূল্যের লালশাক ১৫-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ২০-৫০ টাকা বেড়েছে। অপরিবর্তিত আছে আলু, রসুন, শুকনা মরিচ ও মিষ্টিকুমড়ার দাম। তবে কমেছে কচু ও আমড়ার দাম। প্রতি কেজি কচু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।
এদিকে স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। ছোট সাইজের পোনা ও তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। তবে কিছুটা দাম কম আছে পাঙ্গাশ মাছের।
বাজার করতে আসা সেকেন্দার আলী বলেন, বাজার করার জন্য যে টাকা এনেছিলাম, তা কাঁচা বাজার করতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে। মাছ ও অন্যান্য কিছু কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
সবজি বিক্রেতা আতিকুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজি চাষে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া বৃষ্টির কারণে সবজি সঠিকভাবে পরিবহন যাচ্ছে না। যার কারণে মোকামে সবজি সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন