পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল হোসেন জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। পাঁচ মাস পর গত মঙ্গলবার থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ৯৬০ টন চাল আমদানি করেন। তিনি বলেন, ‘চাল আমদানিতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী। প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইছামতি ফুডস ও সিএন্ডএফ এজেন্ট সুলতান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, তার পাঁচটি ভারতীয় ট্রাকে ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৯টি ট্রাকে ৭৫০ টন চাল এসেছে। বর্তমানে আরও ১০১টি ভারতীয় ট্রাক ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে চাল নিয়ে অপেক্ষা করছে। তবে সরকারিভাবে এখনো মোট আমদানিকৃত চালের হিসাব প্রকাশ হয়নি।
সাতক্ষীরা শহরের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয় চাল আমদানি হলেও বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।’ বর্তমান খুচরা বাজারে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২–৬৩ টাকা, আটাশ চাল ৬৫ টাকা ও মোটা চাল ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস. এম. আব্দুল্লাহ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই বাজারে আমদানির প্রভাব পড়বে। এতে চালের দাম কমবে।’
ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন পানি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর চাল আমদানি শুরু হওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আশা করছি ব্যবসা আবার জমজমাট হয়ে উঠবে।’
তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি দপ্তরের আইপি (আমদানির অনুমতি) জটিলতায় বহু ট্রাক চাল ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আটকে আছে। দ্রুত কাগজপত্রের জট মিটলে আমদানি আরও বাড়বে এবং খরচও কমবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।