হল সুপারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রদল নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে শিক্ষার্থী কক্ষে ওঠানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রদলের সদস্য নাজমুল ইসলাম দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই হলের সুপার অধ্যাপক মুক্তাদিরুল বারী।
জানা যায়, গত বুধবার রুম পরিবর্তনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আসাদ ইকবালকে সুজন ইসলামের ২৩৭ নাম্বার রুমে অ্যালটমেন্ট প্রদান করা হয়। অ্যালটমেন্ট অনুযায়ী আসাদ ইসলাম ২৩৭ নম্বর রুমে উঠতে গেলে সুজন ইসলাম বাধা দেন। পরে হল সুপার অধ্যাপক মুক্তাদিরুল বারী ঘটনাস্থলে গেলে সুজন ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান, শামীম আফশারীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রদলকর্মীর সঙ্গে বাগবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে সুজন আসাদ ইকবালকে রুমে উঠতে না দিয়ে তালা দিয়ে দলবল নিয়ে হল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা নাজমুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক বার্নাড দাস পলাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে সুজন ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘উনি (হল সুপার) হলে অবৈধভাবে ছেলে তুলেছিলেন, আমি বাধা দিয়েছিÑ এটাই।’ তবে হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার লাগিয়ে রুম দখলের অভিযোগে রয়েছে মো. সুজন ইসলামের নামে।
সুপার অধ্যাপক মুক্তাদিরুল বারী বলেন, ‘আমি আবেদনের ভিত্তিতে পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একই পদ্ধতিতে সুজন ইসলামের রুমে সিট ফাঁকা জেনে শিক্ষার্থীকে অ্যালটমেন্ট দিলে সেই শিক্ষার্থীকে রুমে ঢুকতে বাধা প্রদান কওে, যা হলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ ছাড়া ছাত্রদলকর্মীদের ডেকে এনে আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য ও দুর্ব্যবহার করে একপর্যায়ে আমার নিষেধ সত্ত্বেও রুমে তালা লাগিয়ে হল ত্যাগ করে। এ সময় ছাত্রদল নেতা ইমন আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং পারলে তালা ভেঙে শিক্ষার্থী উঠানোর চ্যালেঞ্জ করে যায়। হল সুন্দরভাবে চালানোর জন্য আবাসিক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’