ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

১৮ দিনে ৫ ছিনতাই চুরি, জনমনে আতঙ্ক

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৭:০০ এএম
বগুড়া

বগুড়ার শেরপুর-ধুনট সড়কে গত ১৮ দিনের ব্যবধানে পরপর পাঁচটি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ ও পথচারীরা।

প্রথম ঘটনাটি গত ১২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শালফা কলেজপাড়া এলাকায়। বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রূপম ব্যাবসায়িক কাজ শেষ করে বথুয়াবাড়ী থেকে শেরপুর ফিরছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আসা ৫ জন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে ৮ হাজার টাকা, একটি অপ্পো অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়।

দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে শেরপুর-ধুনট সড়কের হুসনাবাদ এলাকায়। সেদিন খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের আবু তাহের মীরের ছেলে নাসিম মীর তার স্ত্রীকে বগুড়ায় অস্ত্রোপচার করিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলযোগে এসে তাদের অটোরিকশা থামিয়ে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও একটি বাটন ফোন ছিনিয়ে নেয়।

একই রাতে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের মো. গালাইয়ার ছেলে মাসুদ বাড়ি ফেরার সময় বায়োলকান্দি নামক স্থানে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তবে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে তিনি সেখান থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে রক্ষা পান।

গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে শেরপুর-ধুনট সড়কের শুবলি এলাকায় জমি দেখতে গিয়ে মোটরসাইকেল সড়কের পাশে রাখেন ওই গ্রামের শফি খাঁর ছেলে ড্রাইভার সেলিম খাঁ। এ সুযোগে তিন-চারজন দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ ঘটনা ঘটে ৩০ আগস্ট শনিবার রাতে শালফা বাজারের উপনের চা স্টলের ভেতরে প্রবেশ করে ২ হাজার ১০০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রূপম বলেন, ‘আমি ব্যাবসায়িক কাজ শেষ করে গভীর রাতে শেরপুরের বাসায় ফিরছিলাম। শালফা কলেজপাড়া এলাকায় পৌঁছালে জিক্সারসহ দুটি মোটরসাইকেলে ৫ জন ব্যক্তি এসে আমাকে ঘিরে ধরে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি সত্যিই ভয়াবহ। আমি যতটুকু জানি, এ সড়কে পুলিশ টহল থাকে। তাহলে এত ঘটনা পরপর ঘটলেও পুলিশ কিছুই জানলো না, এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।’

স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে ছিনতাই এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুধু রাতে নয়, দিনের বেলাতেও মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন না। দ্রুত পুলিশি টহল জোরদার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীনের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।