গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মওলানা ভাসানী সেতুর সংযোগ তার ও বৈদ্যুতিক বাতি চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খায়রুল ইসলাম ও সাদুল্লাপুর উপজেলার মুনছুর আলী। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজা অভিযান চালিয়ে ধাপেরহাট এলাকার খায়রুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রংপুরের জগন্নাথপুর গ্রামের মুনছুর আলীকেও আটক করা হয়। গত শনিবার বিকেলে তাদের গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে খায়রুল ইসলাম সেতুর সংযোগ তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম চুরির কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তাররা কৃষিকাজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চুরি-ছিনতাই করে আসছিল এবং তারা একটি সক্রিয় চোরচক্রের সদস্য। তবে এখনো চুরি যাওয়া সংযোগ তার বা অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার সম্ভব হয়নি। পুলিশের দাবি, চক্রটির অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মওলানা ভাসানী সেতুটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের মাত্র দুদিন পর (২২ আগস্ট) রাতে সেতুর সংযোগ তার চুরি হয়। এ ঘটনায় সেতুর সিকিউরিটি ইনচার্জ নুরে আলম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির অভিযোগ আনা হয়।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়কের দুই পাশে থাকা ৮টি লাইটপোস্টের প্রায় ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক তার দুর্বৃত্তরা মাটি খুঁড়ে কেটে নিয়ে যায়। এর ফলে ১৩ জুন পরীক্ষামূলকভাবে লাইট জ্বালানো হলেও পরে আর আলো জ্বালানো সম্ভব হয়নি। এমনকি উদ্বোধনের দিনও সেতুটি অন্ধকারে ঢেকে ছিল। চায়না প্রকল্পের কর্মীরা দাবি করেন, উদ্বোধনের আগেই চুরির ঘটনা ঘটে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন