সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কখনো কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। বর্ষার উন্মত্ত ঢেউ উপভোগ করতে সৈকতের জিরো পয়েন্ট গোসলে নেমেছে কয়েক হাজার পর্যটক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন স্পটে নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সি মানুষকে ঢেউয়ের মিতালীতে দুলতে, ছবি তুলতে এবং সমুদ্রে গোসল করতে দেখা গেছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকিপল্লি, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লি, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষার মৌসুমে কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকতে যে বিশাল ঢেউ দেখা যায়, তা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছুটির দিনে ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে আগত পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক নূরইসলাম বলেন, কুয়াকাটার বড় বড় ঢেউ উপভোগ করতে অসাধারণ লাগছে। পরিবার নিয়ে আসায় আনন্দটা আরও বেড়েছে। খুলনা থেকে আসা পর্যটক ফারহানা আক্তার বলেন, বর্ষার ঢেউয়ের মজা নেওয়ার জন্যই আসা। সৈকতে অনেক ভিড় থাকলেও সবার মধ্যে আনন্দ-উৎসবের আমেজ রয়েছে।
সৈকত লাগোয়া ক্ষদ্র ব্যবসায়ী মহিবুল্লাহ বলেন, কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটক শূন্য ছিল কুয়াকাটা। আজ সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে বেশ পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেচাকেনাও মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ।
হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী জানান, বীচ লাগোয়া হোটেলগুলোতে শতভাগ বুকিং হলেও পৌর শহরের ভেতরের হোটেল-মোটেলে ৫০-৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় কুয়াকাটা অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সৈকতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপদে ঢেউ উপভোগে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।