কুমিল্লার লাকসামে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত এক নারীর গর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে ওই দিন বিকেল ৫টায় লাকসাম-নাঙ্গলকোট রোডের দামবাহার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মাজেদা খাতুন (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে নাওটি গ্রামের অটোরিকশাচালক রাসেল মিয়া (২০) মারা যান। এ ছাড়া পা বিচ্ছিন্ন হওয়া অন্তঃসত্ত্বা মিনা আক্তারের (২৫) গর্ভের সন্তান মারা গেছে। উপজেলার নাওটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত হয়। তাদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গুরুতর আহত ৫ জনকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহতরা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তারা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন। গুরুতর আহত অন্য তিনজনের অবস্থাও সংকটজনক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা ‘কুমিল্লা সুপার’ নামের যাত্রীবাহী বাস নাঙ্গলকোট যাচ্ছিল। বাসটি দামবাহার নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সড়কে পাওয়া যায়। আমরা সেগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।