কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার থেকে চিরিংগা কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রায় যানবাহন উল্টে গিয়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন, যা জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এদিকে সড়কটি সংস্কারের কথা থাকলেও বিগত ৬ মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে চলাচল করা কয়েকটি এলাকার মানুষ।
জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে রয়েছে আদালত ভবন, উপজেলা পরিষদ, ভূমি অফিস, থানা, পৌর ভবন, চকরিয়া মহিলা কলেজ, কোরক বিদ্যাপীঠসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির অনেক জায়গায় কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্তের। চলতি মৌসুমে বৃষ্টির কাদাপানি ও খানাখন্দগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির পর রাস্তাগুলো পানি ও কাদায় পূর্ণ হয়ে যায়, ফলে যানবাহনের চাকায় কাদাপানি ছিটে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের পোশাক নষ্ট হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
শুধু জনসাধারণ নয়, যান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। গাড়িচালকরা জানান, সড়কে খানাখন্দ হওয়ায় তাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। সড়কের মধ্যে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় সময় গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ কারণে সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় আমির আলী নামের একজন বলেন, পাকা সড়কটি দিয়ে এখন হেঁটে যাওয়াই কষ্টকর। খানাখন্দগুলো সংস্কার না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অটোচালক মানিক মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অটো চালাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কটির সংস্কারকাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও যত দ্রুত সম্ভব সড়কটির সংস্কারের উদ্যাগ নেওয়া হবে।