ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০১:৫৫ এএম

গত জুলাইয়ে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ইনিংসের প্রথম ১০ বলে রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেট নেই বাংলাদেশের। প্রথম ওভারের শেষ বলে তানজিদ হাসান বোল্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দুষ্মন্ত চামিরার বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন।

এতে বাজেভাবে ব্যাটিংয়ের শুরু করে বাংলাদেশ। লঙ্কান পেসার নুয়ান তুষারার প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান নিতে পারেননি তানজিদ হাসান। ষষ্ঠ বলে বাংলাদেশ ওপেনার রান তো নিতেই পারেননি, উল্টো বোল্ড হয়ে গেলেন। এ নিয়ে পাঁচ ইনিংসে তানজিদকে তৃতীয়বার আউট করলেন তুষারা। এরপর পঞ্চম ওভারে তাওহিদ হৃদয়ও আউট হন।

হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন নিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের জায়গায় একাদশে ফেরেন শরিফুল ইসলাম। গত ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেননি তাসকিন। ২ উইকেট পেলেও ৩৮ রান দিয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার। এ কারণে একাদশে জায়গা পাননি। এক ম্যাচ পরই একাদশে ফিরেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসার সবশেষ একাদশে ছিলেন নেদারল্যান্ডস সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ওই ম্যাচে অবশ্য বোলিং করতে পারেননি তিনি। শ্রীলংকার বিপক্ষে উইকেট পাওয়ার আগে  ৫২ টি-টোয়েন্টি খেলে ৫৮ উইকেট নেন শরিফুল। ওভারপ্রতি রান খরচ করেন আটের বেশি রান। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট।

অন্যদিকে, জিম্বাবুয়েতে খেলা সবশেষ টি-টোয়েন্টির একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন এনে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেন লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার সঙ্গে ফেরানো হয়েছে পেসার মাথিশা পাথিরানাকে। তাদের জায়গা দিতে বাদ পড়েন লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার দুশান হেমান্থা ও পেসার বিনুরা ফার্নান্দো।

এশিয়া কাপের ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টিতে ২০ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে আট ম্যাচে জয় বাংলাদশের। বাকি ১২টিতে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। আবুধাবিতে এশিয়া কাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেছে লিটন দাসের দল। উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে তাই লঙ্কানদের চেয়ে ভালো ধারণা আছে তাদের। সেই সুবিধা মাঠের লড়াইয়ে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে তারা।