শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তরা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের জমি বিক্রির অভিযোগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে ভুয়া, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মহসিন আলী আকন্দ। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মহসিন আলী আকন্দ বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় তিনি নিজে ও কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী ২৫ শতাংশ জমি দান করেন। একইভাবে স্থানীয় আব্দুল মান্নানও ২৫ শতাংশ জমি দান করেন। এরপর ১৯৯২ সাল থেকে জমি দান, অর্থ, শ্রম ও মেধার মাধ্যমে ধাপে ধাপে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়।
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের চারতলা ভিতবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের সুবিধার্থে তৎকালীন সভাপতি মরহুম আব্দুর রাজ্জাক পাশের একটি দাগের (বিআরএস খতিয়ান-১৩৩, দাগ নং-৭৯০) ১০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে এওয়াজ করে নেন। বিনিময়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের জমি (বিআরএস খতিয়ান নং-৩১৭, দাগ নং-৭৮৯) ৬.৮০ শতাংশ এওয়াজ বদল দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন (দলিল নং-১৫৫৫১, তারিখ: ২২-১২-২০১১ ইং)।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, সেই প্রাপ্ত জমি থেকে তিনি নিজে ৩.২৫ শতাংশ এবং সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হকের স্ত্রী লাভলী বেগম ৩.২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন (দলিল নং-১৫৫৩৫, তারিখ: ২৬-১২-২০২২ ইং)। বিক্রয়মূল্য ছিল ১৫ লাখ টাকা, যা দলিলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। অথচ সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে আগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে জমি বিক্রি বৈধ বলে মত দেয়। অথচ প্রতিবেদনে উল্টো তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
এ ছাড়া সংবাদে উল্লিখিত ‘শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৬ জন সদস্য পদত্যাগ’ ও ‘একজন শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন’ এসব তথ্যও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
প্রতিবাদলিপিতে মহসিন আলী আকন্দ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন। অথচ সংবাদে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণœ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন