*** মাঠে নেই কর্মকর্তারা
*** সকাল-বিকেল জমিতে কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না
রাজশাহীর তানোরে আমন ধানে হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। প্রতিনিয়ত কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে আমন ধান বাঁচাতে সকাল-বিকেল জমিতে কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের কোনো উপ-সহকারী (বিএস) কর্মকর্তাদের মাঠে পরামর্শ নেওয়ার জন্য ডেকেও সাড়া পাচ্ছেন না কৃষকরা। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে আমন ধান বাঁচাতে কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ না পাওয়ায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে আমন ধান বাঁচাতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করছেন কৃষক। আমনের মাঠে গিয়ে বেশকিছু কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধান চাষের জন্য কৃষককে তেমন হয়রানির শিকার হতে হয়নি। এবার আমন রোপণের সময় থেকে পানির সমস্যা না হলেও সারের সংকট এবং দামও বেশি ছিল। তারপরেও কষ্ট হলেও বেশি দামে সার পটাশ কিনে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা।
কিন্তু হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যার জন্য কারেন্ট পোকার আক্রমণ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তানোর উপজেলার কৃষকেরা। অথচ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা রয়েছেন উদাসীন। মাঠে দেখা মিলছে না উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের। এমনকি অফিসে গিয়েও কোনো কর্মকর্তার সুপরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন কৃষকেরা। ফলে কৃষকরা নিজে নিজে বাজার থেকে বিভিন্ন কীটনাশক কিনে এনে জমিতে ব্যবহার করছেন। এতে তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না কৃষকের।
তানোর উপজেলার যশপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল, ইনছান আলী জানান, যেভাবে আমন ধানে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করছে তাতে কৃষকের খরচ জুটবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত আছেন তারা। তারা আরও বলেন, বাজারে যেভাবে কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল কীটনাশক বোঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে। কারেন্ট পোকার আক্রমণ নিয়ে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কোনো কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।