সিলেটের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য, মাদকদ্রব্য ও গরু-মহিষসহ জব্দ করা হয়েছে। সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) ও জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) পৃথক অভিযানে এসব মালামাল জব্দ করে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিলেট জেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দকৃত চোরাচালানের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বিজিবি পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৪৮ বিজিবির অধীনস্থ নোয়াকোট, শ্রীপুর, প্রতাপপুর, দমদমিয়া ও সোনালিচেলা বিওপি কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ, শাড়ি, গরু, চিনি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী নৌকা আটক করা হয়। একই দিনে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা ও দুইজন চোরাকারবারিকে আটক করে। পরে আটককৃতদের গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরিচালিত এসব অভিযানে জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক সিজারমূল্য প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা দিন দিন জোরদার করা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই সীমান্তপথে অবৈধ বাণিজ্য সংঘটিত না হতে পারে।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি বলেন, সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং আটককৃত মহিষগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক এই ধারাবাহিক অভিযান সীমান্তপথে অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে।