মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আজিজ আল ফয়সাল, ফেনী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

দেড় বছরের কাজ ছয় বছরে গড়াল

আজিজ আল ফয়সাল, ফেনী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

দেড় বছরের কাজ  ছয় বছরে গড়াল

  • ফেনীর দাগনভূঞায় ঝুলে আছে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ
  • ঠিকাদার সেঞ্চুরি কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে ধীরগতির অভিযোগ
  • শিক্ষার্থী সংকুলানে ভুগছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার কোরশমুন্সি ফাজিল মাদ্রাসার চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ ১৮ মাসে শেষ করার কথা থাকলেও ছয় বছর পরে এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এতে নতুন ভবনে উঠতে না পারায় শিক্ষার্থীসংকুলান, শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরি কনস্ট্রাকশনকে। দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্ত থাকলেও ছয় বছরেও ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি, নি¤œমানের কাজ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই প্রকল্পটি আজও ঝুলে আছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পূর্ববর্তী সরকার আমলে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বল্পসংখ্যক শ্রমিক নিয়ে ভবনের ফিনিশিং কাজ চলছে। এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে প্লাস্টার, দরজা-জানালা, টাইলস ও সিঁড়ির আর্টিজান কাজ।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. সোলাইমান বলেন, ‘মাদ্রাসায় বর্তমানে ১ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। নতুন ভবনটি চালু হলে শিক্ষার মান অনেক উন্নত হবে।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরি কনস্ট্রাকশনের মালিক মো. সেলিম দাবি করেন, ‘ফান্ড না পাওয়ায় সময়মতো কাজ শেষ করা যায়নি। এখন অর্থ ছাড় হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভবন বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবদুস সামাদ এ দাবিকে অস্বীকার করে বলেন, ‘ফান্ডের অভাব ছিল না। ধীরগতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে ও জরিমানাও করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভবন বুঝিয়ে না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী স্বয়ং বিষয়টি তদারকি করছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে, নইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে দীর্ঘসূত্রতা ও নি¤œমানের কাজের অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!