বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম

রাস্তা থেকে ১০ ফুট উপরে ব্রিজ, নেই সংযোগ সড়ক

আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম

রাস্তা থেকে ১০ ফুট উপরে ব্রিজ,  নেই সংযোগ সড়ক

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও দুই বছরেও শেষ হয়নি সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ব্রিজটি কোনো কাজে আসছে না স্থানীয়দের। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও তারা স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়া খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি রাস্তা থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহন ও পথচারীরা ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কাজটি পায় মুলাদী উপজেলার মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট কাজ শুরু করে এবং সাত মাস আগে ব্রিজের ঢালাই শেষ করে। কিন্তু দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ না করেই ব্রিজটি ফেলে রাখে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষের পরেও যে সময় ছিল, তাতে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা যেত। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করে নির্মাণ করেনি।

স্থানীয় এলাকার আবুল হাসেম নামে এক বৃদ্ধ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গত ২ বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়ি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা-তো অবহেলিত আমাদের কেনো তারা সুযোগ-সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণধূলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয় দাঁড়ায়। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. বাদল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ হলেও আমি কাজ করতে পারিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে আওয়ামী লীগের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়েছিল। পরে তারাও কাজ করতে পারেনি। এখন স্থানীয় ঠিকাদাররা কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করব।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অয়ন সাহা বলেন, ওই ব্রিজের টেন্ডারটি হয়েছিল ২০২৩ সালে। আমি যোগদান করেছি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়। তবে আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!