জাতীয় ক্রিকেট দলে সৌম্য সরকারের আবেদন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। জাতীয় দল ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন এই ওপেনার। আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার মিশনে নেমেছেন তিনি। ২০১৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তার। শুরুর দিকে চার-পাঁচ বছর জাতীয় দলে প্রায় নিয়মিত মুখ ছিলেন। দৃষ্টিনন্দন সব ইনিংস খেলে সমর্থক আর নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করছিলেন।
কিন্তু গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন এই বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। অবশ্য সেটি শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। চার বছর ধরে তো টেস্ট দলের বিবেচনাতেই নেই তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন এই ক্রিকেটার। এবার জানা গেল, টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টায় আছেন সৌম্য।
সৌম্য সরকারের প্রসঙ্গে বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম জানান, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরতে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। সোহেল বলেন, ‘আমরা যখন লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে অনুশীলন করছিলাম, সৌম্য জিএসএলে খেলছিল। ফিরে আসার পর আমরা এখন সাদা বলের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে কেউই একটিমাত্র ফরম্যাটে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না। সৌম্য নিজেও লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে আগ্রহী এবং তার সেই দক্ষতা ও সক্ষমতা উভয়ই আছে। কারণ সে আগেও টেস্ট ম্যাচ খেলেছে।’ আগ্রাসী ধরনের ব্যাটিংয়ের কারণে নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টও সাদা বলেই বেশি বিবেচনা করেন সৌম্যকে।
আলোচনা হচ্ছে, চলতি মাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে ফিরতে পারেন সৌম্য। এরই মধ্যে প্রাথমিক দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে টিকে গেলে আগামী প্রায় এক বছরও সাদা বলের খেলাতেই ব্যস্ত থাকতে হবে তাকে। কারণ এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ সামনে রেখে শর্টার ফরম্যাটের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবি। তাই লাল বলে দলে সৌম্যর ফেরার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জও দেখছেন সোহেল। তিনি বলেন, ‘সব খেলোয়াড়ই সব ফরম্যাটে খেলতে চায়। লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটের মধ্যে খেলার ধরনের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্যাটিং কৌশল, মানসিকতা, ম্যাচের পরিকল্পনা এবং শট প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।
এ কারণেই আমরা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা জানে যে লাল বলে খেলার সময় তাদের মানসিক কৌশল কেমন হবে, তারা কীভাবে খেলবে এবং তাদের টেকনিকগুলো কীভাবে কার্যকর করবে।’ দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটের ভিন্নতা নিয়ে কোচ বলেন, ‘যখন তারা এই ফরম্যাট (টেস্ট) থেকে ওয়ানডেতে যায়, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হয়; ওয়ানডেতে অনেক বেশি সিঙ্গেলস নিতে হয়। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে খেলার সময় যেসব বলে সাধারণত একক রান আসে, সেগুলোতেও আমরা বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করি। এভাবে খেলার ফরম্যাটের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়ের কৌশল এবং শট নির্বাচনও পরিবর্তিত হয়।’
