ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সে ফেরার ম্যাচটি রেকর্ডগড়া ইনিংসে রাঙালেন কলিন মানরো। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে তার দলও জিতল ১২ রানে। সিপিএলের সবচেয়ে সফল বিদেশি ব্যাটসম্যান মানরো। ত্রিনবাগোর হয়ে তো তিনি সব মিলিয়েই সফলতম। তবে গতবার এই টুর্নামেন্টে তাকে দেখা যায়নি। সবশেষ ২০২৩ আসরে খেলেছিলেন সেন্ট লুসিয়া কিংসের হয়ে। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা খেলেছেন ত্রিনবাগোর হয়ে। এবার সেই প্রিয় দলে ফিরেই তিনি উপহার দিলেন ৫৭ বলে ১২০ রানের ইনিংস।
১৪ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি ত্রিনবাগোর হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। রান তাড়ায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ২০ ওভারে তোলে ২১৯ রান। অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটিই তাদের সর্বোচ্চ। ম্যাচ জিততে না পারলেও সিপিএলে কোনো ব্যাটসম্যানের ফিফটি ছাড়া সবচেয়ে বড় দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এটি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ত্রিনবাগো বড় সংগ্রহের ভিত পায় মানরো ও অ্যালেক্স হেলসের উদ্বোধনী জুটিতে। ৯ ওভারেই ১১৪ রান যোগ করেন দুজন। হেলস ফেরেন ২৭ বলে ৪৭ রান করে। এরপর নিকোলাস পুরান (১১ বলে ১৩) ও কাইরন পোলার্ড (১৩ বলে ১৯) খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। তবে মানরোর ব্যাটে ঝড় চলতেই থাকে। ২১ বলে ফিফটি করে আরও এগিয়ে যান তিনি। ৯৭ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান নাসিম শাহকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে। ৫০ বলে সেঞ্চুরিতে পা রেখে মাইলফলক উদযাপন করেন পরের দুই বলে আরও দুটি সেঞ্চুরিতে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩টি সেঞ্চুরি করা মানরোর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ত্রিনবাগোর হয়ে দুটি সেঞ্চুরিতে স্পর্শ করলেন তিনি নিকোলাস পুরানকে। ১৯তম ওভারে হোল্ডারকে টানা দুটি বাউন্ডারির পর ১২০ রানে থামেন তিনি এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে। ত্রিনবাগোর হয়ে আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল পুরানের ১০২। রান তাড়ায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের শুরুটাও খারাপ ছিল না। তবে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ওপেনিংয়ে ৪৫ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন কাইল মেয়ার্স ও আন্দ্রে ফ্লেচার।
তবে মেয়ার্স আউট হয়ে যান ২২ বলে ৩২ করে, ফ্লেচার ২৬ বলে ৪১। তিনে নেমে রাইলি রুশো ফেরেন ২৪ বলে ৩৮ করে। পরে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে ৪৪ করেন হোল্ডার। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের রান ২১৯ পর্যন্ত যেতে পারে মূলত পাগলাটে এক শেষ ওভারের সৌজন্যে।
১৯ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১৮৯। শেষ ওভারের প্রথম বলে আসে সিঙ্গল। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন নাসিম শাহ। পরের বলে ওয়াইড ও বাই খেকে আসে ৫ রান। বোলার টেরেন্স হাইন্ডস এরপর মাঠ ছাড়েন শরীরের পাশে টান লাগায়। বল হাতে নিয়ে মানরো শুরু করেন বিমার মেরে ‘নো’ করে। পরের দুই বলে চার ও ছক্কা মারেন নাসিম। পঞ্চম বলে সিঙ্গলের পর শেষ বলটি ছক্কায় ওড়ান ডমিনিক ড্রেকস। ওভার থেকে আসে মোট ৩০ রান। তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি তা। ত্রিনবাগোর অফ স্পিনার ইসমান তারিক ৪ উইকেট নেন ৩৩ রানে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন