বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম প্রবাসী খেলোয়াড় জামাল ভূঁইয়া। এত দিন ধরে ডেনমার্ক-প্রবাসী এই ফুটবলারকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার দেওয়ান হামজা চৌধুরী, শমিত সোমরা আসার পর জামালের দিক থেকে ফোকাস সরে গেছে। তাকে চূড়ান্ত স্কোয়াডে রাখা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে গেইম টাইম পাননি জামাল। বারবার একাদশে উপেক্ষিত থাকলেও হাল ছাড়ার পাত্র নন জামাল। বর্তমানে জাতীয় দলের ক্যাম্পে কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সি এই ফুটবলার।
আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর অক্টোবরে হংকং ও ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে। বাছাইপর্বের আগে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ফুটবলারদের যাছাই করতে চান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। জামালের মতো অভিজ্ঞদের দিতে চান পর্যাপ্ত গেম টাইম। আসন্ন নেপাল ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী জামাল। তবে ভারত ও সিঙ্গাপুর ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকার হতাশা প্রকাশ করেছেন এই মিডফিল্ডার। তিনি বলেন, ‘এখানে অনুশীলন ভালো হচ্ছে। আমি ফিট হয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমরা (নেপালে) জিতব। এবার আমরা জিততে পারি। যারা আছে তাদের পারফর্ম করতে হবে। কারা খেলবে এটা কোচের সিদ্ধান্ত। শেষ তিন ম্যাচে আমি শুধু এক ম্যাচ খেলেছি। ভুটানের বিপক্ষে একটি অ্যাসিস্ট করেছি।
পরবর্তী ম্যাচে আমি খেলব কি না, এটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে অবশ্যই (আগের তিন ম্যাচের দুটিতে) খেলতে না পেরে খারাপ লেগেছে।’ জামাল আরও বলেন, ‘ফুটবলার হিসেবে আমি খেলতে চাই। ফুটবলে এমনটা স্বাভাবিক। সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
আপনাদের এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, তাই না? আমাদের দল ইতিমধ্যে তরুণ। কোচের সামনে তাদের পারফর্ম করার একটা ভালো সুযোগ (নেপাল সফর)।’ ক্যাম্পে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের এখনো না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কোচ কাবরেরা। জামালের মতে, এর প্রভাব পড়বে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি। জামাল বলেন, ‘অবশ্যই এটা একটু প্রভাব ফেলবে। তবে যারা আছে তারা ভালো অনুশীলন করছে। এটা অবশ্য বসুন্ধরা কিংস ও বাফুফের ব্যাপার, আমার না।’