আগামী জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানে হবে এসএ গেমস। আসন্ন গেমসে অংশ নেবে না ভারত। নারী হ্যান্ডবলে অন্যতম ফেবারিট ভারত না থাকায় বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক জেতার সম্ভাবনা বেশি। ভারত না থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে চান রুবিনা ইসলাম। এবারের জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ। তবে প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন পুলিশের খেলোয়াড় রুবিনা ইসলাম।
হ্যান্ডবল খেলে পরিবারের অসচ্ছলতা ঘুচিয়েছেন। হ্যান্ডবল খেলেই পেয়েছেন পুলিশের চাকরি। পল্টন শহিদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে গত সোমবার ফাইনালে আনসারকে ৩৫-২৯ গোলে হারায় বাংলাদেশ পুলিশ। ফাইনালের প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও সময় যত গড়িয়েছে, আনসারের অভিজ্ঞতার কাছে হার মেনেছে পুলিশ দল। বিশেষ করে শেষ দিকে পুলিশের খেলোয়াড়দের স্ট্যামিনা একেবারেই কমে যেতে দেখা গেছে। চ্যাম্পিয়ন দলকে ছাপিয়ে এই প্রতিযোগিতার সব আলো কেড়ে নেন রুবিনা। ফাইনালে করেছেন সর্বোচ্চ ১৫টি গোল। হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়।
রুবিনার হ্যান্ডবলে হাতেখড়ি নিজের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যেখানে বেশির ভাগ মেয়েই হ্যান্ডবল খেলে। সিনিয়রদের হ্যান্ডবল খেলতে দেখেই রুবিনা এসেছেন এই খেলায়। ২০০৯ সাল থেকে হ্যান্ডবল খেলা শুরু করলেও জাতীয় দলে সুযোগ পান ২০১৪ সালে। আর হ্যান্ডবল খেলার সুবাদেই পেয়েছেন পুলিশের মতো সরকারি চাকরি। ফাইনাল শেষে রুবিনা বলেন, ‘হ্যান্ডবল খেলার মাধ্যমেই আমার পুলিশের চাকরি হয়েছে।’
রুবিনারা পাঁচ বোন। ভাই নেই। দুই বোন হ্যান্ডবল খেলেন। পরিবারের সমর্থনেই এত দূর এসেছেন বলে জানালেন। জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষ। এবার রুবিনার চোখ জাতীয় দলে, ‘আমি আশা করি, আমার পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাব।’ বাংলাদেশ জাতীয় হ্যান্ডবল দল ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে জিতেছিল রুপার পদক।
সেটাই এখন পর্যন্ত নারী দলের সর্বোচ্চ অর্জন। সেবার ফাইনালে বাংলাদেশ হারে ভারতের কাছে। আগামী জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমস। ফেবারিট ভারত ওই গেমসে অংশ নেবে না। সুযোগটা কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘যেহেতু ভারত খেলবে না, এবার আমাদের সামনে সোনা জেতার ভালো সুযোগ আছে। আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’ শুধু এসএ গেমসে নয়, একদিন বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে দেখতে চান রুবিনা।