সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা করেছে ভারত। আগামী রোববার ভারত খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে ভারতীয় অলরাউন্ডার শিভম দুবে বোলিংয়েও বার্তা দিয়ে রাখলেন। আমিরাতের বিপক্ষে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং উপহার দেন তিনি। গত পাঁচ আইপিএল মিলিয়ে উইকেট মিলেছে মোটে একটি। গত তিন আইপিএল মিলিয়ে বোলিং করতে পেরেছেন স্রেফ তিন ওভার। দুবের অলরাউন্ডার পরিচয়ই তাই হারিয়ে যেতে বসেছিল প্রায়। তবে জাতীয় দলে এখন সেই অলরাউন্ডারকেই প্রয়োজন। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং উপহার দিয়ে জানিয়ে রাখলেন, তিনিও প্রস্তুত অলরাউন্ড ঝলক দেখাতে। এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে বুধবার ৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন দুবে। গত আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে দুই ওভার বোলিং করে ৩৩ রান দেন তিনি। গত বছরের আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলেই এক ওভার বোলিং করে ১৪ রানে তার প্রাপ্তি ছিল ১ উইকেট। ২০২৩ আইপিএলে তো ১৬ ম্যাচ খেলেও বোলিং পাননি এক ওভারও। আইপিএলে তিনি হয়ে উঠেছেন শুধুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এশিয়া কাপে দলের প্রথম ম্যাচে দেখালেন, বোলিংয়ের ধার তার হারায়নি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ৩২ বছর বয়সি ক্রিকেটার বললেন, টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা তিনি জানতে পেরেছিলেন আগেই। দুবে বলেন, ‘অধিনায়ক ও কোচ আমাকে আগেই বলছিলেন যে আমার বোলিং করতে হবে (এশিয়া কাপে) এবং আমার ওপর তাদের বিশ্বাস আছে। বোলিং কোচ (মর্নে মরকেল) আমাকে বলেছেন অনেক কিছুই। লম্বা সময় ধরেই এটির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি যে, যখনই বোলিংয়ের সুযোগ আসবে, যেন প্রস্তুত থাকি। আজকে (বুধবার) যা হয়েছে, সেটি প্রস্তুতির কারণেই।’ প্রথম ম্যাচে ভারতের একাদশে বিশেষজ্ঞ বোলার ছিলেন চারজন। সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। দুবেকে আক্রমণে আনা হয় ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। ধারণা করা যেতে পারে, সামনের ম্যাচগুলোতে কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ, পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী দুবে ও আভিশেক শার্মাকে কাজে লাগানো হবে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। তবে জাতীয় দলে বোলিং মোটামুটি নিয়মিতই করেন দুবে। এই ম্যাচের আগে ভারতের হয়ে তার সবশেষ টি-টোয়েন্টিতেও দুটি উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আইপিএল ক্যারিয়ারে ৭৯ ম্যাচে তার উইকেট মোটে ৫টি, অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। আইপিএলে তার বোলিংয়ের সুযোগ প্রায় শেষ হয়ে গেছে ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের কারণে। বাড়তি একজন বোলার খেলানোর সুযোগ থাকায় দুবের মতো আরও অনেক অলরাউন্ডারের বোলিংয়ের সুযোগও সীমিত হয়ে আসছে। দুবের অবশ্য দাবি, তার পরও নিজের বোলিং নিয়মিত ঝালিয়ে রেখেছেন তিনি। এশিয়া কাপের শুরুটা ভালো হওয়ার পর সামনেও নিজের উপযোগিতা প্রমাণ করতে চান দীর্ঘদেহী এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘অলরাউন্ডারের ভূমিকা কমে গেছে (ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে)। এ জন্যই আইপিএলে আমার বোলিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। তবে আমার দিক থেকে আমি সব সময়ই প্রস্তুত ছিলাম। প্রতিটি ম্যাচেই বোলিংয়ের জন্য তৈরি ছিলাম। আইপিএলের আগেও বোলিং নিয়ে অনেক খেটেছি। দুই মাস কাজ করেছি ফিটনেস ও বোলিং নিয়ে।’ দুবে আরও বলেন, ‘শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অলরাউন্ডার হিসেবে সব সময় তৈরি থাকি ৪ ওভার বোলিংয়ের জন্যই। ৩-৪ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ যখনই আসবে, আমি তৈরি আছি। দলের যা প্রয়োজন, সব করার চেষ্টা করব।’