সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ইনজুরির কারণে এ সিরিজে দর্শক হয়েই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত অধিনায়ক লিটন কুমার দাসকে। এরই মধ্যে দলকে আমিরাতে রেখে দেশে ফিরেছেন এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান। ফেরার পর এশিয়া কাপে দলের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই ক্রিকেটার। তার কথার সারমর্ম হলোÑ ক্রিকেটের বড় মঞ্চে পরিণত ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে থাকা দরকার। তার মানে এই নয় যে, নতুনরা দলে সুযোগ পাবে না।
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পারার ব্যর্থতায় হতাশ লিটন দাসও। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। নিজের ইনজুরি প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘(শেষ দুই ম্যাচে) থাকতে পারলে ভালোই হতো। এশিয়া কাপে অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচ। ছোট থেকেই দেখি এগুলো অনেক বড় নাম। বড় দলের সঙ্গে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলতে পারিনি। খেলতে পারলে খুব ভালো লাগত।’ ব্যাটিং ব্যর্থতা পুনরায় সামনে এনে লিটন বলেন, ‘সমস্যা কিছু না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলই খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে। আমার মনে হয়, ওভারঅল আমরা এশিয়া কাপের আগে এবং এশিয়া কাপের প্রথম তিন-চার ম্যাচ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। তাদের স্পিন কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল। আমরা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। পাকিস্তানের সঙ্গে যে রকম টার্গেট ছিল, বিশ্বাস ছিল চেজ করব। ক্রিকেটে আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা ব্যাটসম্যানরা এখানে ব্যর্থ হয়েছি।’ নিজের ফর্ম ধরে রাখা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটে ধারণা বা বিশ^াস নেই। সামনে কাজে দেবে কি না, নির্দিষ্ট দিনেই বোঝা যাবে। বড় মঞ্চে যে কোনো পারফরম্যান্সই আলাদা বুস্টআপ করে। এখন আগে রিকভারি করতে হবে। সামনে যে সিরিজ খেলব, চ্যালেঞ্জিং হবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ। এশিয়া কাপে খেলে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে লিটনের, এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, দলে পরিবর্তন আনার পক্ষে নন। লিটন বলেন, ‘বড় মঞ্চে প্লেয়ারের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দরকার। একজন প্লেয়ার যখন নিয়মিত বড় মঞ্চে খেলবে, তার জন্য ডেলিভারি করাটা সহজ হবে। চেষ্টা থাকবে যারা খেলে তারা যেন সিনিয়র প্লেয়ার হয়। এমন না যে নিউকামার আসবে না। তবে যখন বড় মঞ্চে খেলছেন, তখন পরিণত প্লেয়ার যেন দলে থাকে।’ এর আগে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে প্রত্যাশিত জায়গায় নিতে না পারায় নিজের ফেসবুক পোস্টে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন লিটন। আরও একবার ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘আমরা জানি, আমরা সব সময় মুখে হাসি ফোটাতে পারিনি। তবে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি, কষ্ট করেছি। আশা করছি, সামনে এটা পূরণ করে দিতে পারব।’