বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম

সারিয়াকান্দিতে বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষক

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম

সারিয়াকান্দিতে বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১৪ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রোপণ শুরু হয়েছে। কৃষকরা আধুনিক হালচাষের যন্ত্র দিয়ে জমিচাষ করে তা কর্দমাক্ত করতে বিদ্যুৎ বা ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে সদ্য প্রস্তুত কাদা মাটি জমিতে চারাগাছ রোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ওপর দিকে বোরো ধানের চারা বীজতলা থেকে উত্তোলন করে হাটে বাজারে বিক্রি করছেন। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো ধান রোপণ শুরু করেছেন। কৃষকরা বলেন, আগাম বোরো ধান রোপণ করতে পারলে শ্রমিক খরচ কম লাগে। সব জমিতে একসাথে রোপণ শুরু হয়ে গেলে শ্রমিক পাওয়া যায় না টাকাও বেশি লাগে। ফলে বোরো ধান চাষে খরচও বেড়ে যায়।

উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কৃষক এনামুল জানান, প্রতিবছর ৬ বিঘা জমিতে তিনি বোরো ধানের আবাদ করেন। শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার আশংকায় তিনি আগামভাবে জমিতে বোরো ধান রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩ বিঘা জমিতে তার বোরো ধান রোপণ শেষ হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৭শত ৩০ হেক্টর জমিতে বোরোধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছিল ৪৭ হাজার ৫৫৩ টন চাল।

এ বছর ভুট্টার আবাদ বেশি হওয়ায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। গত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও কৃষকরা ব্রিধান ২৮, ২৯, ৫৮, ৭৪, ৮৮, ৯২, ৯৫, ১০০, ১০২, ১০৮, বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড, সাদা এবং কালো বোরা ধান কৃষকরা চাষ শুরু করেছেন।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শফি আহমেদ বলেন, বোরো ধান চাষের জন্য উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। যেহেতু অফ পিক আওয়ার বা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ এর ভোল্টেজ বেশি থাকে তাই এ সময় কৃষকদের জমিতে পানি দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ সময় পানি সেচ দিলে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণও কম হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, পুরো উপজেলাতে মোটামুটি বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। বোরো ধান রোপণে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন। উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধানের জন্য উপজেলায় বেশকিছু প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!