বগুড়ায় অসুস্থ বাবার কাছ থেকে বাসা ও ট্রাকসহ সব সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন ছেলে-মেয়ে। অবশেষে বাবাকে বাড়ি থেকে বেরও করে দিয়েছেন ছেলে রনি।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক পাহীন বাবা শহরতলীর মাটিডালি এলাকার মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জহুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার ছেলে-মেয়ের দ্বারা আমি আজ নিঃস্ব। পায়ের অসুখ লইয়া কয়েক বছর চিকিৎসাধীন ছিলাম। তৎপর একটু সুস্থ হইয়া বাড়ি ফিরিলে ছেলে রনি ও মেয়ে সীমা খাতুন বাড়িতে উঠতে দেয় না, বলে বাড়িঘর জমিজমা, ব্যবসার ট্রাক সব লিখে নিয়েছে।
বর্তমানে ভাড়া বাসায় আছি। মাটিডালী সাকিনের ৫ শতক জমিতে নির্মিত দোতলা বিল্ডিং, ৯৫৯১/৯৫৬৬ দাগের ৫ শতক জমিতে নির্মিত একতলা বিল্ডিং এবং একটি টিনশেড বাড়ি, বারপুর মধ্যপাড়া মৌজার ৫৩০৯/৫৩৪৬ দাগের ওপরে নির্মিত ৫টি টিনশেড দোকান তথা মার্কেট, ৩০ শতকের ও ০৭ শতকের এবং ২১ শতকের আবাদী জমি ও কালীবালা মৌজার ৯২৭/৯২৮/৯২৯ দাগের ১০ শতকের কলাবাগান রনি ও সীমা আমার চিকিৎসাকালীন অসুস্থ ও জ্ঞানশূন্য অবস্থায় কখন লিখে নেয় জানি না। স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে তাদের কখনো সম্পত্তি দিতে চাইনি, দেইনি।
এ ছাড়াও আমার ব্যবসার ১৮টি ট্রাকের মধ্যে ১১টির কাগজ নাকি রনি এবং ২টি বাবদ সীমা খাতুন করিয়া লইয়াছে। অপর ৫টি ট্রাক এখনো আমার নামে থাকা সত্ত্বেও সেই ট্রাকগুলোর আয়ের টাকা আমাকে দিতেছে না ছেলে রনি।
তিনি বলেন, আমার রোজগার নাই। জীবনের শেষ প্রান্তে ছেলে-মেয়েদের ষড়যন্ত্রমূলক দলিল করা এবং আমাকে বাড়িঘর ছাড়া করায় এবং ট্রাকের আয় বন্ধ করিয়া দিয়া আমার জীবন চরম অশান্তিময় করিয়া তুলিয়াছে। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে প্রতিকার কামনা করছি।’

 
                             
                                    


 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন