ঢাকা শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫

লোকালয়ের পাশে পড়েছিল অসুস্থ বন্যহাতি, চিকিৎসা দিলো শেরপুর বন বিভাগ

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে পায়ে একাধিক ক্ষত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাহাড়ে লোকালয়ের আশেপাশে পড়েছিল একটি বন্যহাতি। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাতিটির সুস্থতায় এগিয়ে আসে বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। গাজীপুর সাফারি পার্ক ও প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের যৌথ সহযোগিতায় চিকিৎসা দেওয়া হয় হাতিটিকে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে  শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি পাহাড়ে অসুস্থ বন্য হাতিটির চিকিৎসা কার্যক্রম চলে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘একটি বন্যহাতি পায়ে গভীর কয়েকটি ক্ষত নিয়ে তিন পায়ে কাটাবাড়ি পাহাড়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে বন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে হাতির সুস্থতায় উদ্যোগ নেয়া হয়।গাজীপুর সাফারি পার্ক ও স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকগণ যৌথ প্রচেষ্টায় প্রথমে ট্রাঙ্কুলাইজার ইনজেকশন দিয়ে হাতিটিকে অজ্ঞান করে। পরে ক্ষতস্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আরেকটি ইনজেকশনের মাধ্যমে হাতিটির জ্ঞান ফেরানো হয়। চিকিৎসা শেষ হলে হাতিটি ধীরে ধীরে পাহাড়ের গহীনে দলের কাছে ফিরে যায়।’

অসুস্থ বন্যহাতিটির চিকিৎসায় গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সফল হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতিটির আঘাতপ্রাপ্ত পা ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সেড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।’