কুড়িগ্রামের উলিপুরে সালিশ বৈঠকে এক ধর্ষিতার চুল কেটে দিয়েছেন স্থানীয় মাতব্বররা।
গত ৬ মে রাতে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই নারীকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুরুষকে ২০টি বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দেবর কর্তৃক ভাবিকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে রাতে গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকে মাতব্বর মাইদুলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে ধর্ষণের শিকার নারীকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অপরদিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুরুষকে ২০টি বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় অভিযুক্ত তার ভাবিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি পুরো ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। কয়েক দিন পর তার স্ত্রী মোবাইলে ভিডিওটি দেখে ফেলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় মাতব্বর মাইদুল ইসলাম ওই কলহের সমাধান করতে গেলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এরপর থেকে এলাকার খলিলুরের ছেলে মাইদুল তার লোকজন নিয়ে উভয়পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, মাতব্বররা আমার চুল কেটে দিয়ে আমাকে সমাজে হেয় করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।