লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে চেম্বার খুলে রোগী দেখার অভিযোগে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে ওই উপজেলার দইখাওয়া বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা।
এ সময় রবিউল ইসলাম নামে ডাক্তার দাবিদার অপর এক ব্যক্তির চেম্বারও সিলগালা করেন ইউএনও।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, ওই এলাকায় দু’জন ব্যক্তি ভুয়া ডিগ্রী ব্যবহার করে ডাক্তার সেজে রোগী দেখছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আসে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে ডাক্তার দাবিদার এক ব্যক্তির চেম্বারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও। আবু বক্কর সিদ্দিক নামে ওই ব্যক্তি সাইনবোর্ডে যেসব ডিগ্রী ব্যবহার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়। পরে ভুয়া ডিগ্রী ব্যবহার ও প্রতারণার অভিযোগ আবু বকর সিদ্দিক নামে ওই ব্যক্তির এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শামীম মিঞা।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :