কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাট থেকে ইজারার রসিদ ছাড়া অবৈধভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) চাঁদা তোলার সময় আটক করে থানায় দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এরপর দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান (৫৮) এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আলমগীর হোসেন (২৭)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার যাত্রাপুর গরুর হাটে মাহাবুব ও আলমগীরের বিরুদ্ধে রসিদবিহীন চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেনীর মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন যাত্রাপুর হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীকে অভিযোগ দিলে ওই দুজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন গতকাল যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে মাহাবুব ও আলমগীর তাকে (আনোয়ার) গরু–মহিষ বিক্রির শেডে নিয়ে যান। প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাকা হিসাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন।
এ সময় আনোয়ার চাঁদা নেওয়া ব্যক্তিদের কাছে রসিদ চাইলে তারা হাটের ইজারার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিষয়টি হাটে দায়িত্বরত যৌথ বাহিনীর সদস্যদের জানান তিনি। পরে মাহাবুব ও আলমগীরকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘জোরপূর্বক অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :