লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ নিহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও জামায়াত।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত। তারা দাবি করে, বিএনপি সমর্থকদের হামলায় কাউছার আহমেদ নিহত হয়েছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তারা।
অন্যদিকে, একটি সামাজিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। তারা বলেন, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, জামায়াত বিষয়টিকে নোংরা রাজনীতির হাতিয়ার বানাচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, কাউছার আহমেদকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পরও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করেছে। মামলা হলেও এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তারা আরও দাবি করেন, এ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়িত। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান জামায়াত নেতারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেজাউল করিম, জেলা সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরুন্নবী, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দীন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, শহর জামায়াতের আমির অ্যাড. আবুল ফারাহ নিশান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক আরমান হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা বলেন, একটি সামাজিক সমস্যা নিয়ে জামায়াত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে, যা নিন্দনীয়।
তারা দাবি করেন, জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ এর আগেও দুইবার স্ট্রোক করেছিলেন, এবং সম্ভবত স্ট্রোকজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়, যেটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন, অ্যাড. হাফিজুর রহমান, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিহত কাউছার আহমেদ রাজিবপুর এলাকার মৃত মমিন উল্লাহর ছেলে ও স্থানীয় জামায়াতের একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় জামায়াত দাবি করে, বিএনপি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।