দেশের বিভিন্ন জেলায় বুধবার (১১ জুন) পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু, কিশোরী, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং এক পর্যটক। এসব দুর্ঘটনা দেশের নদী, পুকুর, খাল ও পর্যটন এলাকাগুলোতে ঘটে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের বাসাইল ও গোপালপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা যান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহাল ও জাহিদুল ইসলাম (মানিকগঞ্জ)। জানা গেছে, কয়েক বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়ায় ঘুরতে যান। দুপুরে গোসল শেষে ফেরার সময় জাহিদুল নৌকা থেকে লাফ দিলে পানিতে তলিয়ে যান।
কিশোরগঞ্জ
করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় তাইয়েবা (১১) ও ইয়াসমিন (৮) নামের দুই শিশু। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ
আড়াইহাজার উপজেলার হাজিরটেক এলাকায় বাড়ির পাশের খালে গোসলে নেমে মৃত্যু হয় খাদিজা আক্তার (১১) ও ইসরাত জাহান (১২) নামের দুই মাদ্রাসা ছাত্রী ও আত্মীয়ার।
কুমিল্লা
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামে পুকুরে ডুবে মারা যায় সাফা মারওয়া ও সামিরা আক্তার । একজন নার্সারির শিক্ষার্থী এবং অপরজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
সিলেট
সিলেটের জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে চট্টগ্রামের ১৬ বছর বয়সী পর্যটক মো. মাহিম ডুবে মারা যান। জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে খালাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় মিম আক্তার (১৩)।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নদীতে গোসলে নেমে মৃত্যু হয় সাব্বির হোসেন (৮) নামের এক স্কুলছাত্রের।
ভোলার
ভোলার চরফ্যাসনে পুকুরে ডুবে মারা যায় ময়না (৫) নামের একটি শিশু।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় অরিশা (১৪) নামের এক কিশোরীর।