পঞ্চগড়ের দুটি পৃথক সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া এবং অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে এই পুশইনের ঘটনা ঘটে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪-এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা ১০ জনকে পুশইন করে। পরে শিংরোড বিওপি’র টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিন শিশু।
একই রাতে মেইন পিলার ৭৪৩-এর ৩ নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন অমরখানা সীমান্ত দিয়ে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা আরও পাঁচজনকে পুশইন করে। এদের মধ্যে রয়েছেন দুজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু। সকালে বিজিবির অমরখানা বিওপি সদস্যরা বোর্ডবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
বিজিবি জানায়, খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে এরই মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অমরখানা সীমান্তে আটক পাঁচজনকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।
আটককৃতরা নিজেদের খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, ‘বিজিবির পক্ষ থেকে ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আটকদের প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিক কি না, তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগেও গত দুই মাসে সাত দফায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১০১ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ।
আপনার মতামত লিখুন :