ছাত্রকে শাসন করার জেরে যশোরের অভয়নগরে রফিকুল ইসলাম (৩০) নামের এক শিক্ষকের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার (১৪ জুলাই) এটি আলোচনায় আসে।
আহত হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখেলা গ্রামের শাহাজাহান ফারাজীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসায় মোহতামিম হিসেবে কর্মরত রফিকুল ইসলাম। জাহাঙ্গীরের ছেলে বিল্লাল ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। অমনোযোগী হওয়ায় বিল্লালকে শাসন করে শিক্ষক। এ সময় তাকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করা হয়।
ছেলেকে মারধরের খবর শুনে বিকেলে মাদ্রাসায় যান জাহাঙ্গীর। ছেলের শরীরে বেত্রাঘাতের দাগ দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় তিনি শিক্ষক রফিকুলের ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করেন। লাঠির আঘাতে রফিকুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। এ সময় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিল্লাল হোসেন ঠিকমতো লেখাপড়া করে না। বিষয়টি কিছুদিন আগে তার অভিভাবককে জানানো হয়। তখন বিল্লালের বাবা জাহাঙ্গীর তার ছেলেকে শাসন করার কথা বলেছিলেন। রোববার পড়া না হওয়ায় লাঠি দিয়ে ২-৩টি আঘাত করা হয়। এতে জাহাঙ্গীর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আঘাত করে। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি গোপন করেছিলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর হোসেনকে পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সবুজ জানান, শিক্ষক রফিকুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মাথার ক্ষতস্থানে ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :