বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম

নারীবাদীদের ‘নোংরা দুশ্চরিত্রা’ বলে গালি দিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তাঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ছবি : সংগৃহীত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তাঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ছবি : সংগৃহীত

ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। ধর্ষণ–অভিযুক্ত কমেডিয়ান আরি আবিত্তানের অনুষ্ঠানে নারীবাদীদের বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে তিনি তাদেরকে ‘নোংরা দুশ্চরিত্রা’ বলে গালি দিয়েছেন। এমন একটি রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত রোববার প্যারিসে আবিত্তানের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ওই অভিনেতার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে নারীবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। অনুষ্ঠানটির আগের রাতে তারা সেখানে বিক্ষোভ করে এবং আবিত্তানকে ‘ধর্ষক’ বলে স্লোগান দেন।

পরদিন মঞ্চের পেছনে আবিত্তানের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি নারীবাদীদের বিক্ষোভের কথা তুলে ভয় প্রকাশ করলে ব্রিজিত তাকে সান্ত্বনা দেন। এ সময়ই তিনি প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওই নোংরা দুশ্চরিত্রারা যদি আবার আসে, ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেবে।’ কথোপকথনের অংশটি কোনোভাবে রেকর্ড হয়ে যায় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়ে এলিসি প্রাসাদ। পরে ব্রিজিতের দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি কড়া ভাষা ব্যবহার করলেও উদ্দেশ্য ছিল শুধুই আবিত্তানকে শান্ত করা; আগের দিনের বিক্ষোভে তিনি আতঙ্কিত ছিলেন বলেই তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা চলছিল।

অন্যদিকে ‘আমরা সবাই’ নামের নারীবাদী সংগঠনটি অভিযোগ করছে, ফ্রান্সে ধর্ষণ মামলার বিচারব্যবস্থা দুর্বল। তাই তারা অভিযুক্ত অভিনেতার অনুষ্ঠান পণ্ড করার চেষ্টা করেছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আবিত্তানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা প্রমাণের অভাবে বাতিল হলেও এ বছরের জানুয়ারিতে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছে।

ফার্স্ট লেডির মুখ থেকে এমন আপত্তিকর মন্তব্য বেরিয়ে আসায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। অনেকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া ও নারী অধিকার নিয়ে উত্তাল আলোচনার সময়ে ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ এমন মন্তব্য করলেন কেন?

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!