রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

‘আমার ছেলে রাজনীতি করেনি’, হত্যার বিচার চান ইমনের মা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

মা রোখসানা বেগম ও নিহত ইমন তালুকদার। ছবি- সংগৃহীত

মা রোখসানা বেগম ও নিহত ইমন তালুকদার। ছবি- সংগৃহীত

মধুমতির তীরে ছোট্ট গ্রাম ভেড়ারবাজার। এখানেই বাড়ি ছিল ১৭ বছর বয়সি ইমন তালুকদারের। যিনি গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন। শহরজুড়ে উত্তপ্ত সংঘর্ষের মাঝে সাধারণ এই কিশোরের মৃত্যু এখন শোক ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনার পর ইমনের গ্রামের মানুষ সাংবাদিকদের আগমনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এমনভাবে আগে কখনো তাদের গ্রামে সাংবাদিক আসেননি।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ইমনের পরিচয় স্পষ্ট হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ একজন বুট দিয়ে একটি ছেলেকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ইমনের পরিবার নিশ্চিত করেছেন, ভিডিওতে থাকা ছেলেটি ইমন।

ইমনের মা রোখসানা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেরে গুলি করে দিছে। তারপর পাছড়াইয়া পাড়ায়া মারছে। মুখে পাড়া দিয়া মাইরা ফালাইছে।’

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘গুলি করার পর ইমনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ছেলের লাশ উদ্ধার করতে হাসপাতালে ছুটে গেলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করতে বাধ্য হন তারা।’

ইমনদের বাড়ি বলতে একটিমাত্র টিন-কাঠের ঘর। ১২ বাই ১০ ফুটের ছোট্ট ঘরটিতে একসঙ্গে ঘুমাতেন পরিবারের সবাই। বাবা ভ্যান চালালেও সঠিকভাবে সংসার সামলাতে পারেন না বলে পরিবারের অভিযোগ।

সংসার চলত ইমনের আয়ে- গোপালগঞ্জ শহরের একটি ক্রোকারিজ দোকানে কাজ করতেন তিনি, বেতন ছিল ১৩ হাজার টাকা।

ইমনের ফুফু বানু আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইর ব্যাটার জান ফেরত চাই। সে কোনো রাজনীতি করে নাই, পাঁচটা মানুষ খুন করে নাই। তারে ক্যান এমনে মারল?’

ইমনের মতোই নিহত হন রমজান কাজী (১৭), টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন দৈনিক ৫০০ টাকায়।

পরিবারের দাবি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই রমজানের, তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনিও।

রমজানের মামা কলিম মুন্সী বলেন, ‘ওরে হাসপাতালে নিছিলাম। ডাক্তার ছিল না। লাশ হসপিটাল রাখতে বলছিল না, কয় নিয়ে যান। মাটিচাপা দিছি।’

রমজানের মা এখনো শোক ভুলতে পারেননি, প্রায়ই অজ্ঞান হয়ে যান বলে জানান স্বজনরা।

নিহত দীপ্ত সাহা (২৭)–তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় জীবিত ছিলেন বলে দাবি করেছে পরিবার।

যদিও পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলেও পরে মারা যান।

বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২১-২২ জুলাই গোপালগঞ্জে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে। ইমনের শরীরে গুলির চিহ্ন ছাড়াও আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

তবে সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করেননি বা বক্তব্য দেননি। আইএসপিআরের পক্ষ থেকেও ২৭ জুলাই রাত পর্যন্ত কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।

Shera Lather
Link copied!