টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রতিবেশী চাচা মো. ফরহাদ হোসেন খান (৫৫) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় ১৪ বছরের এক কিশোরী। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে নাগরপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফরহাদ উপজেলার পচাসারুটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে কিশোরীকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ফরহাদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়।
এরপর ভুক্তভোগীকে খুন করার হুমকি দিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ না করতে চাপ দেয়। এর বেশ কিছুদিন পর ভুক্তভোগীর দাদি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি অনুমান করতে পেরে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে মেয়েটি তার দাদিকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
এরপর চলতি বছরের ১৫ মে নাগরপুরে একটি ক্লিনিকে গর্ভসংক্রান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা করালে ডাক্তার তার গর্ভে সন্তানের কথা জানান। একই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) ধারায় নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মামলা করার পর থেকেই ফরহাদকে গ্রেপ্তার করার জন্য নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর গত ২৯ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানতে পেরে রাত পৌনে ১টার দিকে ফরহাদকে পচাসারুটিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
আসামি মো. ফরহাদ হোসেন আদালতে ধর্ষণের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :