সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

চাঁদপুরে দুই শহীদ স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

শহীদ আজাদ সরকারের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকের উন্মোচন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শহীদ আজাদ সরকারের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকের উন্মোচন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শহীদ হন আজাদ সরকার ও ফরিদগঞ্জে শহীদ হন শাহাদাত হোসেন। তাদের স্মরণে পৃথক দুটি নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়ছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় এলাকায় শহীদ আজাদ সরকার স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক, শহীদ আজাদের ছেলে আহমেদ কবির হিমেল সরকার, স্থানীয় যুবদল নেতা মিজানসহ এলাকাবাসী।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজাদের মতো প্রতিবাদী মানুষদের স্মৃতি জাতির চেতনায় বাঁচিয়ে রাখা উচিত। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একটি আদর্শের প্রতীক।’

শহীদ আজাদের ছেলে হিমেল সরকার বলেন, ‘আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও আজ তার আত্মত্যাগ স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পরিবারের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

এদিকে একই সময়ে শাহীদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে অপর স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।

শহিদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকের উন্মোচন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ
শহীদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর এম জাহিদ হাসান, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, শহীদ শাহাদাতের মা শিরোতাজ বেগম ও নানি মমতাজ বেগমসহ স্থানীয় লোকজন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘আমরা আজ শহীদ শাহাদাত হোসেনের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস গ্রহণ করেছি। শহীদরা জাতির বাতিঘর। তাদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। শহীদ শাহাদাত হোসেন আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তার এই আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে পারলেই আমাদের এই প্রয়াস সার্থক হবে।’

অনুষ্ঠানটি এক আবেগঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের মা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমাদের জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আশা করি, আমার ছেলের আত্মত্যাগ কেউ ভুলে যাবে না।’

সভায় নলকা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

Shera Lather
Link copied!