রাজশাহীর চারঘাটে নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী হয়ে উঠেছে আরও আগ্রাসী। ফসলি জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি যাচ্ছে নদীগর্ভে। নদীভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের হাজারো পরিবার।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার পিরোজপুর, গোপালপুর, চন্দনশহর, ইউসুফপুর ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীব্র পানি বাড়ায় সঙ্গে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে নদী ভাঙন। কয়েক বছরে বিলীন হয়ে গেছে দুই কিলোমিটার জায়গা। বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক বসতভিটা ও কয়েক শত একর ফসলি জমি।
নদী ভাঙ্গন এলাকার মকবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাদের দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল রাহিম বলেন, নদী ভাঙন এখন আমাদের জীবন যাত্রার স্থায়ী যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর শতাধিক বিঘা জমি ও বসতভিটা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউসুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমার ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকার নদীতীরবর্তী মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
উপজেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল রহমান অঙ্কুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি গত কয়েক দিনের চাইতে আজ একটু কম। এবং বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সবসময় মনিটরিং করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু স্থানে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন