সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন (৪০) পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তবে সম্প্রতি তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ- তিনি রান্না করা নয়, কাঁচা মাছ খেয়েই দিন কাটান!
মৃত ফুল মোহাম্মদের একমাত্র সন্তান আনোয়ার হোসেন জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই তার কাঁচা মাছ খাওয়ার অভ্যাস। এখন প্রতিদিন ভাত, রুটি বা অন্য খাবারের সঙ্গে তিনি অনায়াসে কাঁচা মাছ খেয়ে থাকেন। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় হলো, এতদিন ধরে এই অভ্যাস বজায় রেখেও তার শরীরে কোনো অসুবিধা দেখা যায়নি।’
আনোয়ার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার কোনো সমস্যা হয়নি। বহুদিন ধরেই কাঁচা মাছ খাচ্ছি। যেকোনো তাজা মাছ কাঁচা অবস্থাতেই খেতে পারি। আমার কাছে এটা একেবারেই স্বাভাবিক।’
ফার্নিচারের কাজ করে সংসার চালান আনোয়ার। তার এক ছেলে কলেজে পড়ছে, আর মেয়ে বিবাহিত।
ক্ষিরতলা গ্রামে তার এই অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস ঘিরে শুরু হয়েছে নানা চর্চা। শুরুতে অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তার কাঁচা মাছ খাওয়ার দৃশ্য দেখে সবাই এখন অবাক হলেও মেনে নিচ্ছেন বিষয়টি।
প্রতিবেশী বাসির বিশ্বাস বলেন, আমরা তো কাঁচা মাছ খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। কিন্তু আনোয়ার ভাই এমনভাবে খান, যেন ভাজা বা রান্না করা মাছই খাচ্ছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা কাজীমুদ্দীন বলেন, ‘এই প্রথম এমন একজন মানুষকে দেখলাম, যিনি কৈ মাছ, শিং মাছ এমনকি কাঁচা মাংস পর্যন্ত খেতে পারেন!’
তবে চিকিৎসকদের মতে, কাঁচা মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তবু কাঠমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেনের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা না যাওয়াটা একেবারেই ব্যতিক্রমী।
রায়গঞ্জের আনোয়ার হোসেনের এই অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস শুধু এলাকাবাসীর মাঝেই নয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মাঝেও কৌতূহল তৈরি করেছে। কাঁচা মাছ খেয়ে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা নিঃসন্দেহে এক বিস্ময়কর ঘটনা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন